বই নোটঃ হেদায়াত। হেদায়াত বই pdf
হেদায়াত
লেখকঃ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী
অনুবাদঃ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম
প্রকাশকঃ আধুনিক প্রকাশনী
❏ হেদায়াত শব্দের অর্থঃ
১. হেদায়াত শব্দটি আরবি, কুরআনে শব্দটি বিভিন্ন অর্থে মোট ৩১৪ বার এসেছে।
২. পথ দেখানোর কাজটিকে বলা হয় হেদায়াত বা পথ দেখানো বা প্রদর্শন করা।
❏ অতএব হেদায়াত অর্থঃ
১. অন্ধ ব্যক্তিকে আলোর সন্ধান দেওয়া।
২. পথ হারা ব্যক্তিকে পথ ধরিয়ে দেওয়া।
৩. পথ পাওয়া ব্যক্তিকে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করা।
❏ হেদায়াত বা পথ প্রদর্শন দ্বারা কোন পথ বুঝানো হয়েছেঃ
১. দ্বীন ইসলাম, মায়েদা-৩
২. সিরাতুল মুস্তাকীম, আনআম-১৬১
৩. সত্য ও কল্যাণের পথ, সফ-১০
৪. যুগে যুগে নবী-রাসূলদের পথ, তাওবা-৩৩
৫. জান্নাতের পথ, আনকাবুত- ৬০
❏ বইটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও গুরুত্ব
▣ পরিচয়ঃ
* ১৯৫১ সালে ১৩ নভেম্বর করাচিতে জামায়াতে ইসলামীর চারদিন ব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রদত্ত মাওলানা মওদূদীর নসিহত বা ভাষণ।
* পরবর্তীতে আন্দোলনের কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে ১৯৮৩ সালে এটি বই আকারে হেদায়াত নাম দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
▣ গুরুত্বঃ
১. আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক আছে কিনা।
২. থাকলে বা কতখানি আছে।
৩. আল্লার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের তাৎপর্য কি?
৪. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক কি ধরণে হবে।
৫. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক জানার উপায় কি?
❏ আল্লাহর সাথে সম্পর্কঃ
১. আল্লাহকে ভয় করা।
২. মনে প্রাণে তাঁর প্রতি ভক্তিভাব পোষণ ও সম্পর্ক ঘনিষ্ঠকরণ।
৩. ইবাদতের বেলায় আল্লাহর সহিত নিবিড়তর সম্পর্ক স্থাপন।
৪. আকিদা বিশ্বাসের ব্যাপারে আল্লাহর প্রতি ঈমান।
৫. নৈতিক চরিত্রে আল্লাহর ভয় এবং লেনদেনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
৬. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য সার্বক্ষণিক চিন্তা।
❏ সম্পর্ক কেন বৃদ্ধি করতে হবেঃ
* নবী-রাসূলের নির্দেশ।
* আমাদের সংগঠনের লক্ষ্য।
* আন্দোলন সফলতার জন্য
❏ আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের অর্থঃ
১. নিজের জীবনের সকল কিছু একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট করা, আনআম-১৬২, বাইয়েনা-৫
২. খালেস ভাবে আল্লাহর দ্বীনের আনুগত্য করা।
৩. গোপনে ও প্রকাশ্যে সকল কাজে তাঁকে ভয় করা।
৪. উপায় উপাদানের তুলনায় আল্লাহর শক্তির উপরই ভরসা করা।
৫. বন্ধুত্ব, শত্রুতা, লেনদেন শুধু তাঁর জন্য করা।
৬. নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী না চলা (চলার পথে আল্লাহর নির্ধারিত সীমায় রাখা)।
❏ আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায় ২ ভাবেঃ যথা-
১. চিন্তা গবেষণা
২. বাস্তব কর্মপন্থা
▣ চিন্তা গবেষণাঃ
- কুরআন, হাদিস, সাহিত্য বুঝে শুনে বার বার অধ্যয়নের মাধ্যমে সম্পর্কের ধরণ লাভ করা।
- সম্পর্কের অনুভূতি লাভ ও সার্বক্ষণিক স্মরণ।
* কুরআন-হাদিসের আলোকে যেসব বিষয়ে আল্লাহর সাথে আপনার যোগ-সম্পর্ক অনুভূত হবেঃ
- আল্লাহ আমাদের মাবুদ, আমরা তাঁর গোলাম।
- আমরা তার প্রতিনিধি।
- আল্লাহর সাথে আমরা ঈমান এনে চুক্তি সম্পাদন করেছি।
- আমাদেরকে তার নিকট জবাবদিহী করতে হবে।
▣ বাস্তব কর্মপন্থাঃ
- নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর বিধানের আনুগত্য করা।
- অনিচ্ছায় নহে বরং স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ ও উৎসাহের সাথে তার নির্দেশিত কাজ করা।
- পার্থিব স্বার্থ ব্যতিরেকে একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা।
- গোপনে প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ ঘৃণা করা।
❏ আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বিকাশ সাধনের উপকরণঃ
১. সালাত
২. সাওম
৩. আল্লাহর যিকির
৪. আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়
❏ আল্লাহর সাথে সম্পর্ক যাচাই করার উপায়ঃ
১. নিজের জীবন ও কর্মের পর্যালোচনা করা।
২. চিন্তা ও ভাবধারা সম্পর্কে পর্যালোচনা করা।
৩. নিজের হিসাব নিজে নেওয়া (নিজ স্বার্থে আঘাত লাগলে কেমন লাগে দেখা)
৪. প্রদত্ত ওয়াদার পর্যালোচনা করা।
৫. আল্লাহর আমানতের আমানতদারিতা সম্পর্কে পর্যালোচনা করা।
৬. সময়, শ্রম, যোগ্যতা-প্রতিভা ও ধন সম্পদ কতটুকু আল্লাহর পথে ব্যয় হয়েছে তার পর্যালোচনা।
৭. খোদাদ্রোহীদের তৎপরতায় কতটুকু আপনার মধ্যে যাতনা সৃষ্টি করে।
৮. আখেরাতের সাফল্যকে লক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করুন।
❏ আখেরাতের চিন্তার লালন পন্থা ২টি। যথা-
* চিন্তা ও আদর্শ মূলক।
* বাস্তব কর্মপন্থা।
❏ অযথা অহমিকা বর্জনঃ
১. আমরা পূর্ণতা লাভ করেছি।
২. আমরা সকল যোগ্যতা অর্জন করেছি।
৩. কর্মীদের মধ্যে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ও আখেরাতের চিন্তার অভাব।
❏ নিজের ঘর সামলানঃ
* সন্তান-সন্তুতি ও পরিবার পরিজনদের সংশোধন সম্পর্কে কুরআনের নির্দেশ রয়েছে। সূরা তাহরিম- ৬
* অনেকের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসে- নিজেরা নিজের সন্তান-সন্তুতির জন্য চেষ্টা কম করেন, এ ব্যাপারে কুরআনের নির্দেশ আছে, ষুরা ফুরকান- ৭৪
* বন্ধু বান্ধবদের সন্তানদের সংশোধনেরও চেষ্টা করতে হবে।
❏ শেষ উপদেশঃ
* আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়ে অভ্যস্ত হউন।
* নিজে মুসলমান হউন পকেটকেও মুসলমান করুন।
* দ্বীন কায়েমে কর্মীদের পেরেশানি বৃদ্ধি করুন।
* বাতিলের সাথে পেরেশানি তুলনা করুন।
♡
মাশাল্লাহ
মাশাআল্লাহ
মাশাল্লাহ সুন্দর নোট