বই নোটঃ ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন


ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন

লেখকঃ মওলানা মতিউর রহমান নিজামী

❏ আন্দোলনের অর্থ ও সংজ্ঞাঃ আন্দোলন অর্থ- চেষ্টা, সাধনা, হারাকাতুন, Movement, সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা, কোন দাবী-দাওয়া প্রতিষ্ঠার জন্যে এবং কোন কিছু রদ বা বাতিল করার জন্যে কিছু লোকের সংঘবদ্ধ নড়াচড়া বা উদ্যোগ গ্রহণ করা।
    সংজ্ঞাঃ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে পরিচালিত সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা বা সংগ্রাম সাধনার নামই আন্দোলন।

❏ আল-কুরআনের আলোকে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ অথবা ইসলামী আন্দোলনের পরিধি পাঁচ (৫) ভাগে বিভক্তঃ
    ১. দাওয়াত ইলাল্লাহ।
    ২. শাহাদাত আ’লান্নাস।
    ৩. কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ।
    ৪. ইকামাতে দ্বীন।
    ৫. আমর লি মা’রূপ ও নেহী আনিল মুনকার।

❏ আনুগত্যের পথে অন্তরায় কি কি?
    ১. গর্ব, অহংকার, আত্মপূজা ও আত্মম্ভরিতা।
    ২. হৃদয়ের বক্রতা যা সাধারণ সৃষ্টি হয়ে থাকে দায়িত্ব এড়ানোর কৌশলস্বরূপ জটিল কুটিল প্রশ্ন তোলার বা সৃষ্টির মাধ্যমে।
    ৩. অন্তরে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও সংশয়-সন্দেহের প্রবণতা।

❏ বস বা নেতার মধ্যে পার্থক্যঃ
    ১. বস সাধারণত মেজাজ দেখিয়ে লোকদেরকে দূরে সরিয়ে রাখে, আর নেতা তাদেরকে নম্র ব্যবহারের মাধ্যমে কাছে টানে।
    ২. বস সাধারণত আইনের ও কর্তৃত্বের উপর নির্ভরশীল থাকে, আর নেতা নির্ভর করে তার প্রতি কর্মী ও সাথী-সঙ্গীদের শুভেচ্ছা ও শুভ ধারণার উপর।
    ৩. বস তার অধীনস্থদের মনে তার সম্পর্কে এক ধরনের ভীতির ভাব সৃষ্টি করে তাদেরকে সন্ত্রস্ত করে রাখে, কিন্তু নেতা তার সহকর্মী ও সাথী-সঙ্গীদের মনে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
    ৪. বস তার অধীনস্থদের যেখানে সময়মত আসার নির্দেশ দেয়, সেখানে নেতা সময়ের আগে উপস্থিত হয়।
    ৫. বস কাজটা কিভাবে করতে হবে বলে দিয়েই দায়িত্ব শেষ মনে করে আর নেতা কাজটি কিভাবে করতে হয় বাস্তবে তা দেখিয়ে দেয়।





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url